এমপক্স কীভাবে ছড়ায়
এমপক্স ভাইরাসের উদ্ভব হয়েছে বন্যপ্রাণী থেকে, এটি প্রাণীবাহিত রোগ। আগে যারা বন্যপ্রাণী শিকার করতে যেতেন তারা সংক্রমিত হতেন। কিন্তু বর্তমানে এমপক্স ভাইরাস মানুষ থেকে মানুষের মধ্যে ছড়াচ্ছে। এজন্য ঝুঁকি বেড়ে গেছে।
যেভাবে ছড়ায়-
১. এমপক্স ভাইরাস মানুষ থেকে মানুষে ছড়াচ্ছে শারীরিক সংস্পর্শের মাধ্যমে। এমপক্স সংক্রমিত ব্যক্তিকে র্স্পশ করা, চুমু দেওয়া, যৌন সম্পর্ক থেকে এটি ছড়াতে পারে।
২. সংক্রমিত ব্যক্তির শ্বাস-প্রশ্বাসের খুব কাছাকাছি থাকলে সংক্রমণ ঝুঁকি থাকে।
৩. এমপক্স আক্রান্ত বন্যপ্রাণী শিকার করা, চামড়া তোলা, মাংস কাটা এমনকি রান্নার সময়, কম তাপে রান্না করা খাবার খেলে সেখান থেকে ভাইরাস ছড়াতে পারে। আমাদের দেশে বন্যপ্রাণী শিকার করা হয় না খুব একটা। কিন্তু এমপক্স আক্রান্ত প্রাণীর কাছাকাছি গেলেও সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।
৪. এমপক্স সংক্রমিত ব্যক্তির ব্যবহার করা পোশাক, তোয়ালে, বিছানার চাদর, যেকোনো ব্যবহার্য জিনিসপত্র থেকে ভাইরাস ছড়াতে পারে।
৫. সংক্রমিত ব্যক্তির ব্যবহার করা ইনজেকশনের সুঁই অন্য কারো শরীরে প্রবেশ করালেও এমপক্স হতে পারে।
৬. সন্তানসম্ভবা নারী এমপক্স আক্রান্ত হলে অনাগত সন্তানও এমপক্স ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারে।
৭. এমপক্স শুকিয়ে যাওয়ার পর ফোসকার আবরণ যদি বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ে, সেখান থেকে ভাইরাস সংক্রমণ হতে পারে।
এমপক্সের লক্ষণ
এমপক্সে আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে খুব ব্যথা হয়, জলবসন্তের চেয়েও বেশি ব্যথা হয় এমপক্সে। পায়ের সন্ধিস্থল, গলা, বগলের নিচে থাকা লসিকাগ্রন্থি ফুলে যায়, ব্যথা হয়। প্রচণ্ড ব্যথা ও ফুলে যাওয়ার কারণে জ্বর হয়। ত্বকে পানি ভর্তি ফুসকুড়ি বা ফোসকা হয় এবং সেখানে চুলকানি ও ব্যথা হয়।
এমপক্স এমনিতেই চলে যায়। কিন্তু অনেকে খুব বেশি অসুস্থ হয়ে পড়েন। ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে বিভিন্ন জটিলতা সৃষ্টি হয়, এমনকি মৃত্যুও হতে পারে।
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS